ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

হয়তো ৬ ফুট দূরত্বও যথেষ্ট নয় করোনা ঠেকাতে ।

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০
  • ৯৮৮ পঠিত

করোনার সংক্রমণ রোধে ৬ ফুট দূরত্ব মেনে চলাও হয়তো যথেষ্ট নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বেলায় অন্তত ৬ ফুট দূরে থাকার কথা বলছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সতর্কতা জারি করেছেন, করোনা ঠেকাতে ছয় ফুট দূরত্বও হয়তো যথেষ্ট নয়। তাঁরা বলছেন, বাতাসে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার বিষয় বিশ্বনেতাদের আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার। খবর সিএনএনের।

সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিশেষজ্ঞরা করোনার নিয়মিত পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। উপসর্গ বা সংক্রমণের লক্ষণ না থাকা রোগীদের এভাবে শনাক্ত করা যাবে বলছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা সিঙ্গাপুর, হংকং ও তাইওয়ানের উদাহরণ দিয়েছেন। সেখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করায় ভাইরাসের সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ঠেকাতে সব পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা যথেষ্ট নয়।

সান দিয়েগোতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিম্বারলি প্রদার ও ড. রবার্ট স্কুলি এবং তাইওয়ানের ন্যাশনাল সান ইয়েত–সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিয়া ওয়াং সায়েন্স সাময়িকীতে লিখেছেন, উপসর্গবিহীন করোনা–সংক্রমিত রোগীদের মাধ্যমে যে করোনা ছড়াচ্ছে, এমন প্রমাণ রয়েছে।

এসব বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণে দেখা গেছে, ঘরের ভেতর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত ছয় ফুট দূরত্ব করোনা ঠেকাতে যথেষ্ট নয়। কারণ, ঘরের ভেতরকার বাতাসে করোনাভাইরাস কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। ছয় ফুটেরও বেশি দূর পর্যন্ত এটি ছড়াতে পারে।

ওই তিনজন বিশেষজ্ঞ রসায়ন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, ঘরের মধ্যে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস ও কথা বলার মাধ্যমে করোনাভাইরাস বাতাসে কয়েক ঘণ্টা থাকতে পারে। ভাইরাসটি সহজে একজন থেকে অন্যজনের ফুসফুসে চলে যেতে পারে। এর অর্থ হলো, দূরত্ব বজায় রাখলেও করোনারোধে মাস্ক পরা খুব জরুরি।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

হয়তো ৬ ফুট দূরত্বও যথেষ্ট নয় করোনা ঠেকাতে ।

প্রকাশিত : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

করোনার সংক্রমণ রোধে ৬ ফুট দূরত্ব মেনে চলাও হয়তো যথেষ্ট নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বেলায় অন্তত ৬ ফুট দূরে থাকার কথা বলছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সতর্কতা জারি করেছেন, করোনা ঠেকাতে ছয় ফুট দূরত্বও হয়তো যথেষ্ট নয়। তাঁরা বলছেন, বাতাসে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার বিষয় বিশ্বনেতাদের আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা দরকার। খবর সিএনএনের।

সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিশেষজ্ঞরা করোনার নিয়মিত পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। উপসর্গ বা সংক্রমণের লক্ষণ না থাকা রোগীদের এভাবে শনাক্ত করা যাবে বলছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা সিঙ্গাপুর, হংকং ও তাইওয়ানের উদাহরণ দিয়েছেন। সেখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করায় ভাইরাসের সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ঠেকাতে সব পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা যথেষ্ট নয়।

সান দিয়েগোতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিম্বারলি প্রদার ও ড. রবার্ট স্কুলি এবং তাইওয়ানের ন্যাশনাল সান ইয়েত–সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিয়া ওয়াং সায়েন্স সাময়িকীতে লিখেছেন, উপসর্গবিহীন করোনা–সংক্রমিত রোগীদের মাধ্যমে যে করোনা ছড়াচ্ছে, এমন প্রমাণ রয়েছে।

এসব বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণে দেখা গেছে, ঘরের ভেতর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত ছয় ফুট দূরত্ব করোনা ঠেকাতে যথেষ্ট নয়। কারণ, ঘরের ভেতরকার বাতাসে করোনাভাইরাস কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। ছয় ফুটেরও বেশি দূর পর্যন্ত এটি ছড়াতে পারে।

ওই তিনজন বিশেষজ্ঞ রসায়ন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, ঘরের মধ্যে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস ও কথা বলার মাধ্যমে করোনাভাইরাস বাতাসে কয়েক ঘণ্টা থাকতে পারে। ভাইরাসটি সহজে একজন থেকে অন্যজনের ফুসফুসে চলে যেতে পারে। এর অর্থ হলো, দূরত্ব বজায় রাখলেও করোনারোধে মাস্ক পরা খুব জরুরি।