সিলেটে কুশিয়ারা নদীর উজান-ভাটির চারটি পয়েন্টের মধ্যে পানি বাড়ছে ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্ট দিয়ে। সুরমার পানি উজান-ভাটির দুটো পয়েন্ট দিয়েই কমছে। শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ‘ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডেটা’ সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছেন পাউবোর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।
সিলেট অঞ্চলের প্রধান দুই নদী সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়াও সীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিতি সারী ও লোভা নদীর পানিপ্রবাহ পরিমাপ করে পাউবো। চারটি নদীর আটটি স্থানের পানির প্রবাহ পরিমাপ করে প্রতিদিন সকাল, দুপুর, সন্ধ্যায় প্রচার করা হয় ‘ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডেটা’। এতে দেখা গেছে, কুশিয়ারার পানি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টায় জকিগঞ্জের অমলসিদ ও বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে কমছে। একই সময়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শেরপুর পয়েন্টে বাড়ছে।
মৌলভীবাজারের শেরপুরে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বাড়ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৮ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে শনিবার সকাল ও দুপুরে পানি অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে।
সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়াও পানি কমছে সিলেটের অন্যান্য নদ-নদীর। শনিবার দুপুরের দিকে লোভা নদীর লোভাছড়া পয়েন্টে পানি ১৪ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীতে শুক্রবার সন্ধ্যায় পানি ১৪ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারী নদীর জৈন্তাপুরের সারীঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার দুপুরে সেখানে ১০ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, সকালে ১০ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ও শুক্রবার সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সারীঘাটে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার।