ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
  • ৭০৮ পঠিত

করোনাকালের ক্ষতি পোষাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। তবে পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক বা ল্যাবরেটরি কাজ ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যুক্ত হয়ে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, করোনাকালে শিক্ষায় যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে শিক্ষার্থীদের কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় সে জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এখন ক্লাস নেয়া হবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি এলে পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের বিশেষ প্যাকেজ দরকার। এজন্য একবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আবারও মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা যায়, অনলাইন ক্লাস শুরু করার ক্ষেত্রে ভিসিরা বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এগুলো হল- সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ নেই। ল্যাপটপের বিকল্প হিসেবে স্মার্টফোনেও ক্লাস নেয়া যায়। কিন্তু ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর তাও নেই। সারা দেশে সব স্থানে ইন্টারনেটের গতি কাম্য পর্যায়ে নেই। আবার সব স্থানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দরও একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। সব শিক্ষক ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে অভ্যস্ত নন।

এসব সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসিদের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়। পরে এতে সিদ্ধান্ত হয় যে, শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্পেশাল ইন্টারনেট প্যাকেজ’র জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখা হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের আইসিটি সেল থেকে শিক্ষকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে। শিক্ষকরা জুম বা গুগল ক্লাসরুম অ্যাপসের মাধ্যমে ক্লাস নেবেন। এছাড়া ইউজিসির বিডিরেন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারবেন।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা যোগ দেন। এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এতে যোগ দেন।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

করোনাকালের ক্ষতি পোষাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। তবে পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক বা ল্যাবরেটরি কাজ ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যুক্ত হয়ে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, করোনাকালে শিক্ষায় যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে তা থেকে শিক্ষার্থীদের কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় সে জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এখন ক্লাস নেয়া হবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি এলে পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটের বিশেষ প্যাকেজ দরকার। এজন্য একবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আবারও মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা যায়, অনলাইন ক্লাস শুরু করার ক্ষেত্রে ভিসিরা বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এগুলো হল- সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ নেই। ল্যাপটপের বিকল্প হিসেবে স্মার্টফোনেও ক্লাস নেয়া যায়। কিন্তু ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর তাও নেই। সারা দেশে সব স্থানে ইন্টারনেটের গতি কাম্য পর্যায়ে নেই। আবার সব স্থানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দরও একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। সব শিক্ষক ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে অভ্যস্ত নন।

এসব সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসিদের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়। পরে এতে সিদ্ধান্ত হয় যে, শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্পেশাল ইন্টারনেট প্যাকেজ’র জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখা হবে। এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের আইসিটি সেল থেকে শিক্ষকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে। শিক্ষকরা জুম বা গুগল ক্লাসরুম অ্যাপসের মাধ্যমে ক্লাস নেবেন। এছাড়া ইউজিসির বিডিরেন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারবেন।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা যোগ দেন। এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এতে যোগ দেন।