ঢাকা , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

‘পিএম কেয়ার্স’-এর অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
  • ৮৪০ পঠিত

কোভিডের মতো অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা যাবে না। সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এটি গঠন করা হয়েছে গণ দাতব্য তহবিল (পাবলিক চ্যারিটেবল ফান্ড) হিসাবে। সেই সঙ্গে এই ফান্ডের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কার্যত একে বৈধতাও দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ফান্ডের অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করেছে শীর্ষ আদালত।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই ফান্ড নিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা করে। ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধীরা বার বার প্রশ্ন তুললেও তার বৈধতাকেও মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “গণ দাতব্য তহবিল হিসাবেই এর বৈধতা রয়েছে। এর সমস্ত অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই।” একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য গঠিত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থসাহায্য করতে পারে।

করোনার মতো অতিমারির আবহে চলতি বছরের ২৮ মার্চ প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন্স বা ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড বা তহবিল গঠন করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত কোভিডের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য তা গঠিত হয়েছিল। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী ওই ফান্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তহবিলের ট্রাস্টি হন। তবে দেশে যে কোনও ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতীয় ত্রাণ তহবিল (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড বা এনডিআরএফ) থাকতে ফের কেন আরও একটি ফান্ড গঠন করা হল, তা নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এ নিয়ে তথ্য দিতে আরটিআই দাখিল করলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। তবে ‘পিএম কেয়ার্স’ফান্ডের অর্থ হস্তান্তরের আবেদন খারিজ করলেও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য ২০১৯-এর নভেম্বরে গঠিত জাতীয় ত্রাণ তহবিলই যথেষ্ট। তার জন্য আলাদা করে নয়া অ্যাকশন প্ল্যান বা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পৃথক ন্যূনতম ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন নেই।”

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মারফত সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন বা সিপিআইএল নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ডের অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হোক। এ বিষয়ে ওই আবেদনে কেন্দ্রের নির্দেশ প্রার্থনা করা হয়েছিল। তবে এ দিন তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

‘পিএম কেয়ার্স’-এর অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশিত : ০২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

কোভিডের মতো অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা যাবে না। সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এটি গঠন করা হয়েছে গণ দাতব্য তহবিল (পাবলিক চ্যারিটেবল ফান্ড) হিসাবে। সেই সঙ্গে এই ফান্ডের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কার্যত একে বৈধতাও দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ফান্ডের অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করেছে শীর্ষ আদালত।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই ফান্ড নিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা করে। ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধীরা বার বার প্রশ্ন তুললেও তার বৈধতাকেও মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “গণ দাতব্য তহবিল হিসাবেই এর বৈধতা রয়েছে। এর সমস্ত অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই।” একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য গঠিত প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থসাহায্য করতে পারে।

করোনার মতো অতিমারির আবহে চলতি বছরের ২৮ মার্চ প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন্স বা ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড বা তহবিল গঠন করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত কোভিডের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য তা গঠিত হয়েছিল। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী ওই ফান্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তহবিলের ট্রাস্টি হন। তবে দেশে যে কোনও ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতীয় ত্রাণ তহবিল (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড বা এনডিআরএফ) থাকতে ফের কেন আরও একটি ফান্ড গঠন করা হল, তা নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এ নিয়ে তথ্য দিতে আরটিআই দাখিল করলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। তবে ‘পিএম কেয়ার্স’ফান্ডের অর্থ হস্তান্তরের আবেদন খারিজ করলেও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য ২০১৯-এর নভেম্বরে গঠিত জাতীয় ত্রাণ তহবিলই যথেষ্ট। তার জন্য আলাদা করে নয়া অ্যাকশন প্ল্যান বা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পৃথক ন্যূনতম ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন নেই।”

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মারফত সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন বা সিপিআইএল নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ডের অর্থ জাতীয় ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করা হোক। এ বিষয়ে ওই আবেদনে কেন্দ্রের নির্দেশ প্রার্থনা করা হয়েছিল। তবে এ দিন তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।