গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন হত্যার সুষ্ঠ বিচারের স্বার্থে অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী মোছা. খোদেজা আক্তার। তার মতে এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ জন খুনের বাস্তবায়নকারী। পরিকল্পনাকারীরা এখনো আড়ালে রয়েছে।
শনিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর কাকরাইলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট (আইইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে আইইবি’র সদস্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী, বুয়েটের শিক্ষক এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। পরে হত্যার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খোদেজা আক্তার বলেন, গত ১১ মে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্বামীর জন্য অফিসের গাড়ি না পাঠিয়ে ভাড়া করা গাড়ি পাঠানো হয়। ওই দিনই তাকে হত্যা করে উত্তরা দিয়াবাড়িতে লাশ ফেলে যায় খুনিরা। এ ঘটনায় পরদিন তিনি তুরাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি তদন্ত করে পুলিশ পরবর্তীতে নিহত দেলোয়ারের সহকর্মী আনিসুর রহমান সেলিম, ভাড়াটে খুনি শাহীন ও গাড়ি চালক হাবিবকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেয়। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত ৩ জন কারাগারে রয়েছেন।
খোদেজা আক্তার অভিযোগ করেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আনিসুর রহমান সেলিম জানিয়েছেন যে কর্মস্থলে তার স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন। একজন অধস্তন কর্মচারী কারো বিনা প্ররোচনায় তার বসকে (স্যার) খুন করতে পারে না। তাই যারা ধরা পড়েছে এরা পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী। মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাত লোকজন তাকে অধিকতর তদন্তের দাবি না জানানোর জন্য প্ররোচিত করছে। এসব কারণে হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত না হওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হোক। এ জন্য তিনি গত ৯ জুলাই আইজিপি’র কাছে একটি আবেদন করেছেন।