মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় বন্যার পানির তোড়ে দুটি ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের একাংশ বিলীন হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ব্রিজের অ্যাপ্রোচ বিলীন হয়ে ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ওই অঞ্চলের নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অর্ধলক্ষ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুর রহমান যুগান্তরকে জানান, এলাকাবাসীর উদ্যোগে হাসাইল কামারখাড়া ব্রিজের নিচে পানি বন্ধ রাখার জন্য দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছিল।
গত ৭ জুলাই এই সেতুর নিচে দেয়ালের একাংশ ছিদ্র করে দিয়ে পানির প্রবাহ সচল করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার আকস্মিক পানির চাপে সেতুটির নিচের পুরো দেয়াল ভেঙে গিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করতে থাকে। পরে স্রোতের তোড়ে দুই সেতুর অ্যাপ্রোচের একাংশ বিলীন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম যুগান্তরকে জানান, আড়াআড়ি এই সড়কে পর্যাপ্ত সেতু ও কালভার্ট না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে সড়কটির এক পাশের চেয়ে আরেক পাশের পানি উচ্চতা বেশি। তবে এবার শুষ্ক মৌসুমে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এখন বাঁশদিয়ে বস্তায় বালু ফেলে পানি বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু জানান, বালুর বস্তা দিয়ে পানি বন্ধের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাছাড়া পদ্মা নদীর পানির স্রোতে দিঘীরপাড় বাজারও ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বাজার রক্ষায় আমার নিজ অর্থায়নে বাঁশ পুঁতে ২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে।