মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত পত্রে বদলির আদেশ দিয়ে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইন ওআর-এ তাকে সংযুক্তির করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে বলেন, জনস্বার্থে এই বদলি করা হয়েছে। আপাতত টঙ্গীবাড়ি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম রসুল মোল্লা থানাটির অফিসার্স ইনচার্জের (ওসি) দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ১৪ মে টঙ্গীবাড়ি থানার পুলিশ কনস্টেবল তানজিলকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় সোনারং-টঙ্গীবাড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আহসান কবির খান ও তাঁর পুত্র নাছের খান গ্রেফতার হন। পরদিন পুত্র নাছের খান জামিন পেলেও ১৭ দিন জেলখানায় থাকার পর ৩১ মে জামিন পান আহসান কবির খান। পরবর্তীতে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের অভিযোগ উত্থাপন করে মঙ্গলবার (২ জুন) মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে ওসির প্রত্যাহার দাবী করেন। একই সাথে এই ঘটনা নিয়ে তার কন্যা জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী তাসমিম জেরিন তন্নার একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সূত্রটি জানায়, এসব কারণেই ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, প্রায় ২১ মাস এই থানায় দায়িত্ব পালন করেছি, এটি স্বাভাবিক বদলী।
আহসান কবির খান ও তার পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। তাঁরা পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে, কনস্টেবল তানভিলকে ৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে, সেই মামলায় বাপ-বেটা গ্রেফতার হন। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই ওসি প্রশ্ন করেন এত দিন পর নির্যাতনের অভিযোগ এবং ফেসবুকে মিথ্যা লেখালেখি আসে কেন? চার্জশীট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এসব হচ্ছে। ভাল কাজ করলে শত্রুতা থাকবেই। ওসি আরও বলেন, এর আগেও তাদের পরিবার আরেকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে পার পেয়ে গেছে। আমি ন্যায়সঙ্গত কাজটি করেছি, এটি পুরো টঙ্গীবাড়িবাসী জানেন।