ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

যে কারণে রক্তের গ্রুপ ‘এ’ হলে ঝুঁকি ৫০ ভাগ বেশি

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • ৭৯৭ পঠিত

রক্তের গ্রুপ যাদের ‘এ পজেটিভ’ বা ‘এ নেগেটিভ’ তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।

ভেন্টিলেটর লাগার সম্ভাবনাও অন্য গ্রুপগুলোর থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। এই ধরনের রক্তের গ্রুপ যাদের রয়েছে তারা অনেক বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

মানবদেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শক্তি নিয়ে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

এতে বলা হয়েছে, এটাই প্রথম গবেষণা যাতে কোভিড-১৯’র সঙ্গে জিনগত প্রভাবের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। জিনগত বৈচিত্র্যের কারণেই কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে আলাদা আলাদা প্রভাব দেখা যায়।

এতদিন শুধু ধারণা করা হয়েছে, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হবে কিনা তা নির্ভর করে তার বয়স ও স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর। তবে এবার জানা গেল এতে জিনেটিক গঠনও গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ডিএনএ গবেষণা করে তারা ঝুকিপূর্ণ ব্যক্তিদের আলাদা করতে পারবেন। এ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ১৬১০ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীর দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করেছেন। তাদের সবারই অক্সিজেন সাপ্লাই বা ভ্যান্টিলেটর লেগেছিল।

এরপর তাদের সবার ডিএনএর তথ্য বের করে আনা হয় সেখান থেকে। এর সঙ্গে সুস্থ ২২০৫ জনের ডিএনএ’র পার্থক্য নির্ণয় করেন তারা।

এর আগে চীনা বিজ্ঞানীরাও জানিয়েছিলেন যে, রক্তের গ্রুপ ‘এ’ হলে তার অবস্থা সংকটানাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রচুর। তবে এখনও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, রক্তের গ্রুপ কেন এমন রোগের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারবে!

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখনও গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কোভিড আক্রান্ত হলে কিছু কিছু শরীরের ইমিউন সিস্টেম অত্যধিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। আর এর কারণে তার শ্বাসযন্ত্র কাজ করতে বন্ধ করে দেয়।

আপাতত বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, যেহেতু ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আছে তাই এই কারণেই রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় একেক দেহে। এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চলছে।

বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার বিজ্ঞানীরা আক্রান্ত ব্যক্তির ডিএনএ সংগ্রহ করে এর তথ্য একটি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে শুরু করেছেন। এটিকে বলা হচ্ছে গবেষণার পরের ধাপ। ইতিমধ্যে এ থেকে ডিএনএর প্রভাব প্রমাণিত হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

যে কারণে রক্তের গ্রুপ ‘এ’ হলে ঝুঁকি ৫০ ভাগ বেশি

প্রকাশিত : ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

রক্তের গ্রুপ যাদের ‘এ পজেটিভ’ বা ‘এ নেগেটিভ’ তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।

ভেন্টিলেটর লাগার সম্ভাবনাও অন্য গ্রুপগুলোর থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। এই ধরনের রক্তের গ্রুপ যাদের রয়েছে তারা অনেক বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

মানবদেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শক্তি নিয়ে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

এতে বলা হয়েছে, এটাই প্রথম গবেষণা যাতে কোভিড-১৯’র সঙ্গে জিনগত প্রভাবের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। জিনগত বৈচিত্র্যের কারণেই কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে আলাদা আলাদা প্রভাব দেখা যায়।

এতদিন শুধু ধারণা করা হয়েছে, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হবে কিনা তা নির্ভর করে তার বয়স ও স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর। তবে এবার জানা গেল এতে জিনেটিক গঠনও গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ডিএনএ গবেষণা করে তারা ঝুকিপূর্ণ ব্যক্তিদের আলাদা করতে পারবেন। এ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ১৬১০ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীর দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করেছেন। তাদের সবারই অক্সিজেন সাপ্লাই বা ভ্যান্টিলেটর লেগেছিল।

এরপর তাদের সবার ডিএনএর তথ্য বের করে আনা হয় সেখান থেকে। এর সঙ্গে সুস্থ ২২০৫ জনের ডিএনএ’র পার্থক্য নির্ণয় করেন তারা।

এর আগে চীনা বিজ্ঞানীরাও জানিয়েছিলেন যে, রক্তের গ্রুপ ‘এ’ হলে তার অবস্থা সংকটানাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রচুর। তবে এখনও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, রক্তের গ্রুপ কেন এমন রোগের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারবে!

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখনও গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কোভিড আক্রান্ত হলে কিছু কিছু শরীরের ইমিউন সিস্টেম অত্যধিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। আর এর কারণে তার শ্বাসযন্ত্র কাজ করতে বন্ধ করে দেয়।

আপাতত বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, যেহেতু ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আছে তাই এই কারণেই রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় একেক দেহে। এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চলছে।

বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার বিজ্ঞানীরা আক্রান্ত ব্যক্তির ডিএনএ সংগ্রহ করে এর তথ্য একটি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে শুরু করেছেন। এটিকে বলা হচ্ছে গবেষণার পরের ধাপ। ইতিমধ্যে এ থেকে ডিএনএর প্রভাব প্রমাণিত হয়েছে।