ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

১০ টাকা কেজি চালের কার্ড ডিলারের নামে!

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
  • ৮১৫ পঠিত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওরঙ্গজেব নামের এক ডিলারের নামেও রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড। তার কার্ড নং ১৯৫৮। তিনি গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম হোসেনের ছোট ভাই ও নওশের আলীর ছেলে।

এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না। উল্টো ডিলারদের লোকদের মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, প্রতিটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা তাদের পছন্দের ব্যক্তি, আত্মীয়-স্বজন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এরপর সেটি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়। সেটি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করার পর তাদের নামে ওই কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর ডিলারের মাধ্যমে ওই তালিকার ব্যক্তিদের কাছে এ চাল বিক্রি দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া ওই ডিলারের ভাই, ভাবি, ভাতিজা, চাচাত ভাই, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীর নামেও এ কার্ড রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিলার আওরঙ্গজেব বলেন, গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও মেম্বাররা মিলে এ তালিকা তৈরি করেছেন। এর দায়ভার সম্পূর্ণ তাদের। আমি শুধু তালিকা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করে থাকি। আর এ তালিকা আমাকে উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে চাল সরবরাহে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি।

এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রিপন হোসেন নামের আরেক ডিলার জানান, ধনাঢ্য ব্যক্তিরা জোর করে তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারা এ চাল নিয়ে তাদের গরুকে ভাত রেঁধে খাওয়ায়। অধিক দুধ উৎপাদন ও গরু মোটাতাজা রাখতে তারা এ কাজ করে থাকে।

এ ব্যাপারে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার ইউনিয়নে ৪ জন ডিলার রয়েছে। দুই-একজন বিশেষ সুবিধা নিলেও ১০ টাকার চাল বিক্রিতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. ইয়াছিন আলী বলেন, শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে এখন ৫২ জন ডিলারের মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এ ৫২ জন ডিলারের মধ্যে নতুন করে ২৬ জন ডিলারকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এর আগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ৫ জনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিলার আওরঙ্গজেব কোনো অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো.শামসুজ্জোহা বলেন, ডিলার আওরঙ্গজেবের অনিয়মের বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

১০ টাকা কেজি চালের কার্ড ডিলারের নামে!

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওরঙ্গজেব নামের এক ডিলারের নামেও রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড। তার কার্ড নং ১৯৫৮। তিনি গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম হোসেনের ছোট ভাই ও নওশের আলীর ছেলে।

এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না। উল্টো ডিলারদের লোকদের মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, প্রতিটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা তাদের পছন্দের ব্যক্তি, আত্মীয়-স্বজন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চালের সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এরপর সেটি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়। সেটি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করার পর তাদের নামে ওই কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর ডিলারের মাধ্যমে ওই তালিকার ব্যক্তিদের কাছে এ চাল বিক্রি দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া ওই ডিলারের ভাই, ভাবি, ভাতিজা, চাচাত ভাই, চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীর নামেও এ কার্ড রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিলার আওরঙ্গজেব বলেন, গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও মেম্বাররা মিলে এ তালিকা তৈরি করেছেন। এর দায়ভার সম্পূর্ণ তাদের। আমি শুধু তালিকা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করে থাকি। আর এ তালিকা আমাকে উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে চাল সরবরাহে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি।

এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রিপন হোসেন নামের আরেক ডিলার জানান, ধনাঢ্য ব্যক্তিরা জোর করে তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারা এ চাল নিয়ে তাদের গরুকে ভাত রেঁধে খাওয়ায়। অধিক দুধ উৎপাদন ও গরু মোটাতাজা রাখতে তারা এ কাজ করে থাকে।

এ ব্যাপারে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার ইউনিয়নে ৪ জন ডিলার রয়েছে। দুই-একজন বিশেষ সুবিধা নিলেও ১০ টাকার চাল বিক্রিতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. ইয়াছিন আলী বলেন, শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে এখন ৫২ জন ডিলারের মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এ ৫২ জন ডিলারের মধ্যে নতুন করে ২৬ জন ডিলারকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এর আগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ৫ জনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিলার আওরঙ্গজেব কোনো অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো.শামসুজ্জোহা বলেন, ডিলার আওরঙ্গজেবের অনিয়মের বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।