ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ। রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত ৫৩, শয্যা বাড়ছে

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
  • ৮৭৭ পঠিত

সর্বোচ্চ তো বটেই। একই সঙ্গে এক দিনে কোভিড পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ পেরিয়ে গেল সোমবার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭১৬ জনের দেহে কোভিডের অস্তিত্ব মিলেছে।

মৃত্যুর মাপকাঠিতে কলকাতা (২১) এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (২১) এ দিন সমসংখ্যক কোভিড পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই জেলায় নতুন করে আক্রান্ত যথাক্রমে ৭৫৬ ও ৫১০ জন। আক্রান্তের মাপকাঠিতে পরবর্তী তিনটি জেলা হল হাওড়া (১৮৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৪৪) এবং হুগলি (৯১)।  এ দিনের পর সুস্থতার হার হল ৭০.০৭%। ২৪ ঘণ্টায় বেড অকুপেন্সির হার ৩৭.৮৮% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯.১৮ % ।

কলকাতার ও বেশ কয়েকটি জেলায় কোভিড হাসপাতালে শয্যা বৃদ্ধির সংখ্যা জানিয়ে এ দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়ার পাশাপাশি যে সকল জেলায় ধারাবাহিক ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, শয্যা বৃদ্ধির তালিকায় সেই সব জেলারই নাম রয়েছে। সম্প্রতি চারটি সিসিইউ বেড-সহ ১১০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড চালুর প্রস্তাব দিয়েছিল এনআরএসের রোগী কল্যাণ সমিতি। তাতে সিলমোহর দিয়ে কলকাতায় শয্যার অভাব পূরণের চেষ্টা করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনায় সিএনসিআই রাজারহাটের শয্যা সংখ্যা ৪০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২৫। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর, নৈহাটি এবং ব্যারাকপুরে নতুন কোভিড হাসপাতাল চালুর কথা জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

হাওড়ার সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ২৫ জনের পরিবর্তে এখন থেকে ৪৫ জন রোগীকে ভর্তি নেওয়া যাবে। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১২০ শয্যা পশ্চিম মেদিনীপুরে বাড়ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মুর্শিদাবাদের পুরনো মাতৃসদন হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে।

মালদহের ট্রমা কেয়ার ফেসিলিটিতে এখন থেকে ১২৫ জনের পরিবর্তে ১৫০ জনের চিকিৎসা হবে। উত্তর দিনাজপুরে মিক্কি মেঘা হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কেন্দ্র থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতাল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেলার আক্রান্তেরা যাতে বাড়ির কাছেই কোভিডের চিকিৎসা পান, সেই পরিকল্পনারই প্রতিফলন ঘটেছে এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু  সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Tag :
জনপ্রিয়

৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত ৫৩, শয্যা বাড়ছে

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০

সর্বোচ্চ তো বটেই। একই সঙ্গে এক দিনে কোভিড পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ পেরিয়ে গেল সোমবার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭১৬ জনের দেহে কোভিডের অস্তিত্ব মিলেছে।

মৃত্যুর মাপকাঠিতে কলকাতা (২১) এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (২১) এ দিন সমসংখ্যক কোভিড পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই জেলায় নতুন করে আক্রান্ত যথাক্রমে ৭৫৬ ও ৫১০ জন। আক্রান্তের মাপকাঠিতে পরবর্তী তিনটি জেলা হল হাওড়া (১৮৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৪৪) এবং হুগলি (৯১)।  এ দিনের পর সুস্থতার হার হল ৭০.০৭%। ২৪ ঘণ্টায় বেড অকুপেন্সির হার ৩৭.৮৮% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯.১৮ % ।

কলকাতার ও বেশ কয়েকটি জেলায় কোভিড হাসপাতালে শয্যা বৃদ্ধির সংখ্যা জানিয়ে এ দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়ার পাশাপাশি যে সকল জেলায় ধারাবাহিক ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, শয্যা বৃদ্ধির তালিকায় সেই সব জেলারই নাম রয়েছে। সম্প্রতি চারটি সিসিইউ বেড-সহ ১১০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড চালুর প্রস্তাব দিয়েছিল এনআরএসের রোগী কল্যাণ সমিতি। তাতে সিলমোহর দিয়ে কলকাতায় শয্যার অভাব পূরণের চেষ্টা করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনায় সিএনসিআই রাজারহাটের শয্যা সংখ্যা ৪০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২৫। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর, নৈহাটি এবং ব্যারাকপুরে নতুন কোভিড হাসপাতাল চালুর কথা জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

হাওড়ার সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ২৫ জনের পরিবর্তে এখন থেকে ৪৫ জন রোগীকে ভর্তি নেওয়া যাবে। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১২০ শয্যা পশ্চিম মেদিনীপুরে বাড়ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মুর্শিদাবাদের পুরনো মাতৃসদন হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে।

মালদহের ট্রমা কেয়ার ফেসিলিটিতে এখন থেকে ১২৫ জনের পরিবর্তে ১৫০ জনের চিকিৎসা হবে। উত্তর দিনাজপুরে মিক্কি মেঘা হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কেন্দ্র থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতাল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেলার আক্রান্তেরা যাতে বাড়ির কাছেই কোভিডের চিকিৎসা পান, সেই পরিকল্পনারই প্রতিফলন ঘটেছে এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু  সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)