পৈশাচিক ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের ধোপা বাড়িতে গত সোমবার(২০-০৭-২০) তারিখে সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অঞ্জলী রানী দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রবিবার (১৯-০৭-২০) তারিখ থেকে কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলোনা অঞ্জলী রানী দাসের। অঞ্জলী দাসের ছোট বোন পূর্ণিমা ও বোন জামাতা খোকন লক্ষ্মীপুর থেকে মঙ্গলবার বিকালে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে এসে ঘরের দরজায় তালা মারা দেখতে পান। কোথায় গেছে এই বিষয়ে আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে পারেন সোমবার দুপুরের পর থেকে ঘরের দরজা তারা বন্ধ দেখতে পায়। পরে ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে ঘরের ভেতরে বিছানার উপর অঞ্জলীর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান তারা। নিহত অঞ্জলীর আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এক বছর আগে তার স্বামী ইন্দ্রজিতকে বাজার থেকে আসার পথে মাথায় আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাদের এক ছেলে বিদেশে থাকে। অঞ্জলী রানী দাস একাই তাদের ঘরে থাকতেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ৪৮ বছর বয়সী অঞ্জলী রানী দাসকে ধর্ষণের পর গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন, ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব, এসআই মো. নুর ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে চাঁদপুর পিবিআই ও সিআইডির সমন্বয়ে যৌথভাবে আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
একজন মধ্যবয়সী নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার ঘটনায় নিন্দা, ক্ষোভ এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি। অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।