ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

মুক্তি পাচ্ছেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৬৮ কয়েদি

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
  • ৭৪৬ পঠিত

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে ৩৬৮ জনকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে- ধর্ষক ও নৃশংস খুনী যাতে না ছাড়া হয়। আমরা সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে এখন ৩৬৮ তে নিয়ে আসছি। তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কারাবিধিতে যাবজ্জীবন অর্থ ৩০ বছর কারাদণ্ড (৯ মাসে বছর ধরা হয় বলে সেটা আসলে হয় ২২ বছর)। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাদণ্ডের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জেল কোড অনুযায়ী যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, এরমধ্যে আইন পরিবর্তন হয়েছে, সেই বিষয়ে আমি যাব না। আমাদের প্র্যাকটিসে যেটা ছিল এক বছরে কতদিন জেল খাটলে বছর পূর্ণ হয় সেই হিসাব করে যাদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২২ বছরে জেলখানার ৩০ বছর পূর্ণ হয়। ৩০ বছর সাজা খাটা এক হাজার ৬০০ বেশি কয়েদির একটা তালিকা জেল কর্তৃপক্ষ দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে কাউকে ছাড়া হয়নি। এর আগে ছাড়া হয়েছিল। এতদিনে পুঞ্জীভূত হয়েছে।

মহামারীর মধ্যে হাসপাতালে অনিয়ম ধরতে শুরু হওয়া অভিযান প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারাই এটা (করোনাভাইরাসের ভুয়া সনদ) করবে তাদেরকে ধরব, এটাই মূল কথা; অভিযান চলবে। তবে আমাদের নির্দেশনা ছিল তথ্যভিত্তিক হতে হবে, কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এখন সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’

জঙ্গি হামলার শঙ্কায় সারা দেশে পুলিশের সতর্কতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যেটা শুনেছেন, মাঝে মাঝে গোয়েন্দারা জানাচ্ছে। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনী যা যা পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো করছে। পুলিশ, র‌্যাব সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সব সময় তারা (জঙ্গি) চিন্তা করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কিছু করবে, সেখানেও আমাদের নজর রয়েছে।’

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘যারা ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল, তারা অনেক সময় দুঃস্বপ্ন দেখে। সেটা নিয়ে তারা অনেক ধরনের জল্পনা-কল্পনা করে, সেগুলোর কিছু অংশ গোয়েন্দা সংস্থা কিছু ইঙ্গিত পেয়ে থাকে। এগুলো ‘সিরিয়াস’ কিছু নয়। তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যে বার্তাগুলো আসছে তা নিছকই জানান দেওয়ার জন্য।’

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

মুক্তি পাচ্ছেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৬৮ কয়েদি

প্রকাশিত : ১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে ৩৬৮ জনকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে- ধর্ষক ও নৃশংস খুনী যাতে না ছাড়া হয়। আমরা সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে এখন ৩৬৮ তে নিয়ে আসছি। তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কারাবিধিতে যাবজ্জীবন অর্থ ৩০ বছর কারাদণ্ড (৯ মাসে বছর ধরা হয় বলে সেটা আসলে হয় ২২ বছর)। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাদণ্ডের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জেল কোড অনুযায়ী যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, এরমধ্যে আইন পরিবর্তন হয়েছে, সেই বিষয়ে আমি যাব না। আমাদের প্র্যাকটিসে যেটা ছিল এক বছরে কতদিন জেল খাটলে বছর পূর্ণ হয় সেই হিসাব করে যাদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২২ বছরে জেলখানার ৩০ বছর পূর্ণ হয়। ৩০ বছর সাজা খাটা এক হাজার ৬০০ বেশি কয়েদির একটা তালিকা জেল কর্তৃপক্ষ দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে কাউকে ছাড়া হয়নি। এর আগে ছাড়া হয়েছিল। এতদিনে পুঞ্জীভূত হয়েছে।

মহামারীর মধ্যে হাসপাতালে অনিয়ম ধরতে শুরু হওয়া অভিযান প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারাই এটা (করোনাভাইরাসের ভুয়া সনদ) করবে তাদেরকে ধরব, এটাই মূল কথা; অভিযান চলবে। তবে আমাদের নির্দেশনা ছিল তথ্যভিত্তিক হতে হবে, কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এখন সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’

জঙ্গি হামলার শঙ্কায় সারা দেশে পুলিশের সতর্কতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যেটা শুনেছেন, মাঝে মাঝে গোয়েন্দারা জানাচ্ছে। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনী যা যা পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো করছে। পুলিশ, র‌্যাব সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সব সময় তারা (জঙ্গি) চিন্তা করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কিছু করবে, সেখানেও আমাদের নজর রয়েছে।’

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘যারা ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল, তারা অনেক সময় দুঃস্বপ্ন দেখে। সেটা নিয়ে তারা অনেক ধরনের জল্পনা-কল্পনা করে, সেগুলোর কিছু অংশ গোয়েন্দা সংস্থা কিছু ইঙ্গিত পেয়ে থাকে। এগুলো ‘সিরিয়াস’ কিছু নয়। তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যে বার্তাগুলো আসছে তা নিছকই জানান দেওয়ার জন্য।’