ঢাকা , বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের সেনা সাদ সাহেব রুজু করার পর দেওবন্দের মাসআলা খতম হয়ে গেছে : মাওলানা আরশাদ মাদানী চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান পুলিশ সদস্যসহ বিশ্ব ইজতেমায় ৭ জনের মৃত্যু বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব দেশ কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্প পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সুশান্তের উৎসাহেই আমার পরিচালক হওয়া

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
  • ৭৫৪ পঠিত

প্র: সুশান্ত সিংহ রাজপুত চলে গিয়েছেন একমাস হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে তো আপনার জীবনেও অনেক বদল এসেছে…

উ: সব কিছু বদলে গিয়েছে। আমার ছোট ভাই, আমার প্রথম ছবির হিরো আমাদের মধ্যে আর নেই। ‘দিল বেচারা’র প্রচার করতে গিয়ে ওকে আরও বেশি করে মিস করছি। আমরা একসঙ্গে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম, যেটা আমাকে ওর হয়ে পূরণ করতে হবে এ বার।

প্র: সুশান্ত নাকি স্ক্রিপ্ট না পড়েই আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন?

উ: হ্যাঁ। বলত, আমার প্রথম ছবিতে ও কাজ করবেই। জামশেদপুর গিয়ে ‘দিল বেচারার’ স্ক্রিপ্ট পড়েছিল। আমার পরিচালক হওয়ার পিছনে সুশান্তের অবদান অনেক। তাই ফক্স স্টার যখন আমাকে ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’-এর হিন্দি রিমেকের প্রস্তাব দিল, তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম, সুশান্তই হবে আমার ছবির হিরো।

প্র: ‘কাই পো চে’ থেকে ‘দিল বেচারা’… আপনার আর সুশান্তের জার্নিটা কেমন ছিল?

উ: ‘কাই পো চে’র অডিশনে প্রায় এক হাজার জন এসেছিল। কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে সবচেয়ে সপ্রতিভ মনে হয়েছিল সুশান্তকে। স্টার হওয়ার সব রকম উপাদান ছিল ওর মধ্যে। ওই সময় থেকেই আমাদের মধ্যে একটা বন্ডিং তৈরি হয়ে যায়। ‘দিল বেচারা’র শুটিংয়েও খুব মজা করেছি। আমরা দু’জনেই ফুডি, বাইকে করে ঘুরে ঘুরে নতুন খাওয়ার জায়গা খুঁজতে বেরোতাম।

প্র: কাস্টিং ডিরেক্টর থেকে নির্দেশক হওয়ার সিদ্ধান্তটা কবে নিলেন?

উ: আমি ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’, ‘শাহিদ’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘হাইওয়ে’, ‘রকস্টার’-এর মতো ছবিতে কাস্টিং করেছি। আমার কাজ ছিল, চরিত্রের চাহিদা অনুযায়ী অভিনেতা বাছাই করা। আর সেটা করতে গিয়ে, ফিল্ম মেকিংয়ের অনেক খুঁটিনাটি শিখে গিয়েছিলাম। ২০১৫ সাল নাগাদ ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, পরিচালনা করব। সুশান্ত খুব উৎসাহ দিত। ২০১৭ সালে ফক্স স্টার প্রস্তাব দিল।

প্র: সুশান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতে থাকা ঘটনাগুলো নিয়ে কী বলবেন?

উ: আমরা সকলে খুব নেগেটিভ হয়ে গিয়েছি। এই নেতিবাচক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে সুশান্তের প্রতিভাকে সেলিব্রেট করা উচিত আমাদের। আমি খুব খুশি যে, এই শুক্রবার সুশান্তের লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছবিটা দেখতে পাবেন।

Tag :
জনপ্রিয়

রমজানে মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে ১৫ দিন, প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন

সুশান্তের উৎসাহেই আমার পরিচালক হওয়া

প্রকাশিত : ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

প্র: সুশান্ত সিংহ রাজপুত চলে গিয়েছেন একমাস হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে তো আপনার জীবনেও অনেক বদল এসেছে…

উ: সব কিছু বদলে গিয়েছে। আমার ছোট ভাই, আমার প্রথম ছবির হিরো আমাদের মধ্যে আর নেই। ‘দিল বেচারা’র প্রচার করতে গিয়ে ওকে আরও বেশি করে মিস করছি। আমরা একসঙ্গে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম, যেটা আমাকে ওর হয়ে পূরণ করতে হবে এ বার।

প্র: সুশান্ত নাকি স্ক্রিপ্ট না পড়েই আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন?

উ: হ্যাঁ। বলত, আমার প্রথম ছবিতে ও কাজ করবেই। জামশেদপুর গিয়ে ‘দিল বেচারার’ স্ক্রিপ্ট পড়েছিল। আমার পরিচালক হওয়ার পিছনে সুশান্তের অবদান অনেক। তাই ফক্স স্টার যখন আমাকে ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’-এর হিন্দি রিমেকের প্রস্তাব দিল, তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম, সুশান্তই হবে আমার ছবির হিরো।

প্র: ‘কাই পো চে’ থেকে ‘দিল বেচারা’… আপনার আর সুশান্তের জার্নিটা কেমন ছিল?

উ: ‘কাই পো চে’র অডিশনে প্রায় এক হাজার জন এসেছিল। কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে সবচেয়ে সপ্রতিভ মনে হয়েছিল সুশান্তকে। স্টার হওয়ার সব রকম উপাদান ছিল ওর মধ্যে। ওই সময় থেকেই আমাদের মধ্যে একটা বন্ডিং তৈরি হয়ে যায়। ‘দিল বেচারা’র শুটিংয়েও খুব মজা করেছি। আমরা দু’জনেই ফুডি, বাইকে করে ঘুরে ঘুরে নতুন খাওয়ার জায়গা খুঁজতে বেরোতাম।

প্র: কাস্টিং ডিরেক্টর থেকে নির্দেশক হওয়ার সিদ্ধান্তটা কবে নিলেন?

উ: আমি ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’, ‘শাহিদ’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’, ‘হাইওয়ে’, ‘রকস্টার’-এর মতো ছবিতে কাস্টিং করেছি। আমার কাজ ছিল, চরিত্রের চাহিদা অনুযায়ী অভিনেতা বাছাই করা। আর সেটা করতে গিয়ে, ফিল্ম মেকিংয়ের অনেক খুঁটিনাটি শিখে গিয়েছিলাম। ২০১৫ সাল নাগাদ ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, পরিচালনা করব। সুশান্ত খুব উৎসাহ দিত। ২০১৭ সালে ফক্স স্টার প্রস্তাব দিল।

প্র: সুশান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতে থাকা ঘটনাগুলো নিয়ে কী বলবেন?

উ: আমরা সকলে খুব নেগেটিভ হয়ে গিয়েছি। এই নেতিবাচক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে সুশান্তের প্রতিভাকে সেলিব্রেট করা উচিত আমাদের। আমি খুব খুশি যে, এই শুক্রবার সুশান্তের লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছবিটা দেখতে পাবেন।