দিনাজপুরের বিরামপুরে বিষাক্ত ‘স্পিরিট’ পানে বুধবার (২৭ মে) সকালে ৬ জন মৃত্যুর পর ওইদিন রাতে আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এক হোমিও চিকিৎসককে আটক করেছে।
জানা গেছে, বিরামপুর পৌর এলাকার মাহমুদপুর গ্রামে আ. আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪২), আ. খালেকের ছেলে আব্দুল আলীম (৪০), কাজী পাড়া মহল্লার ইসরাফিলের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪২) গত মঙ্গলবার (২৬ মে) নেশা করার উদ্দেশ্যে স্পিরিট পান করলে বুধবার রাতে তাদের মৃত্যু ঘটে। এর আগে একই ঘটনায় বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু ঘটে।
বুধবার সকালে মৃতরা হলো-মাহমুদপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আ. মতিন (২২), সুলতান আলীর ছেলে মহসীন আলী (২৭), তোজাম্মেলের ছেলে আজিজুল (৩০), ইসলামপাড়ার তাপস বাক্সি ছেলে অমৃত্যু বাক্সি (২৪,) হঠাৎ পাড়া মহল্লার স্বামী শফিকুল (৫৫) ও স্ত্রী মঞ্জুয়ারা (৩৫)। স্পিরিট পানকারী আরো ৬ জন দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন।
খবর পেয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল, সার্কেল এএসপি মিথুন সরকার ও বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশগুলো থানা হেফাজতে নিয়েছেন।
মৃত মহসীনের পিতা সুলতান আলী জানান, নিহতরা আগে থেকে মাদকাসক্ত ছিল। স্পিরিট পানে তারা অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।
পৌর মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল জানান, বিরামপুর শহরের অনেক হোমিও দোকানে অবাধে স্পিরিট বিক্রি হয়। এই স্পিরিট পানে তাদের মৃত্যু ঘটেছে।
ওসি মনিরুজ্জামান জানান, কি ধরনের নেশা তারা পান করেছিল তা পরীক্ষার জন্য মৃতদের লাশ দিনাজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাহমুদপুর গ্রামের হোমিও চিকিৎসক আব্দুল মান্নানকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দিনাজপুর জেলার কোথাও স্পিরিট বা নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিষেধ করা হলো। এর পরও কেউ বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’