রাজশাহী বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৫৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন দুজন। এ নিয়ে বিভাগে এখন কোভিড-১৯ রোগী এক হাজার ৫৪০ জন। সব মিলিয়ে বিভাগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১৬ জন মারা গেছেন। রোববার রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলার পুঠিয়ায় গত ১২ এপ্রিল প্রথম কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হন। ২৯ এপ্রিল বিভাগে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়। গত ২১ মে ৪০ তম দিনে বিভাগে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। সংখ্যাটা এক হাজারের কোটায় পৌঁছাতে সময় লাগে ১১ দিন। ২ জুন সেই মাইলফলক অতিক্রমের পর সংখ্যাটা দেড় হাজার ছাড়াল ৬ জুন। অর্থাৎ গত ১৬ দিনে বিভাগে এক হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যেগত চার দিনেই পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, বিভাগের মধ্যে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বগুড়ায়। সেখানে এ পর্যন্ত ৭৩১ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এর বাইরে জয়পুরহাটে ২১৪ জন, নওগাঁয় ১৫৯ জন, সিরাজগঞ্জে ১০৮ জন, রাজশাহীতে ৭৫ জন, পাবনায় ১২৯ জন, নাটোরে ৬৬ জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনা সংক্রমিত হয়ে রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বগুড়ায় ছয়জন, রাজশাহীতে তিনজন, নওগাঁয় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, পাবনায় দুজন এবং নাটোরের একজন। বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা-জয় করেছেন ৩০৪ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯১ জন নওগাঁ জেলার। এ ছাড়া জয়পুরহাটে ৮৬ জন, বগুড়ায় ৫৯ জন, সিরাজগঞ্জে ১৬ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫ জন, নাটোরে ১৬ জন এবং পাবনায় আটজন করোনামুক্ত হয়েছেন।
গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, বর্তমানে রাজশাহীতে দুইটি, বগুড়ায় দুইটি, সিরাজগঞ্জে একটি ল্যাবে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত নমুনা ঢাকায় পাঠিয়েও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ কারণে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। খুব শিগগির রাজশাহী বিভাগের আরও কিছু ল্যাব চালুর প্রক্রিয়া চলছে।